আমাদের স্বপ্নযাত্রা: বিজন সেন রায়
- আপলোড সময় : ০১-০১-২০২৫ ১২:৩৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০১-০১-২০২৫ ১২:৫৪:৪৭ পূর্বাহ্ন
ছবি: বিজন সেন রায়, সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক সুনামকন্ঠ।
আমাদের দেশে দিনক্ষণের হিসেব চলে দুইভাবে। এখানে বছর দুইটি। একটি ইংরেজি ও একটি বাংলা। ২০২৪ নামে চিহ্নিত ইংরেজি বছরটা শেষ হয়ে গেছে। শুরু হয়েছে নতুন বছর। আর আজ এই ইংরেজি বছরের শুরু পয়লা জানুয়ারিতে দৈনিক সুনামকণ্ঠের জন্মদিন। এক সময় এই দৈনিকটি সাপ্তাহিক ছিল। সাপ্তাহিক হিসেবে তার যাত্রা ১৩ জুলাই ২০০১-য়ে। এটি দৈনিক হয়ে উঠে নবজন্ম লাভ করে ১ জানুয়ারি ২০১৫-তে। পত্রিকার জন্মদিন অর্থাৎ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পত্রিকা বর্ধিত কলেবরে প্রকাশিত হয় প্রতি বছরেই। আমি সম্মানিত লেখক, পাঠক কিংবা বিশিষ্ট শুভার্থীজনকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বর্ধিত প্রকাশনায় লেখা দেয়ার বিন¤্র অনুরোধ করি। তাঁরা সাড়া দিয়ে আমাদের কৃতার্থ করেন, আর সুনামকণ্ঠ ফুলেল হয়ে উঠার মতো সুশোভিত হয়। এবারও যথারীতি অনেকের লেখা পেয়েছি, তাঁদের কাছে আমার ঋণের শেষ নেই, এই ঋণের যৎকিঞ্চিৎমাত্র শোধ করারও কোনও জাগতিক সম্পদ আমাদের কাছে নেই, কেবল আছে আন্তরিক শ্রদ্ধা ও অফুরন্ত ভালোবসা। আপনারা সকলেই সুনামকণ্ঠ পরিবারের সশ্রদ্ধ ভালোবাসা গ্রহণ করুন। একদা পত্রিকা প্রকাশের সাধ ছিল। কী করে জানি না, একসময় সে-সাধ নেশা হয়ে উঠলো। জীবন সায়াহ্নে এসে ভাবি, আর সত্যিকার অর্থেই ভাবতে ভাবতে অবাক হয়ে যাই। বলতে গেলে কী, আমার মতো একজনের পক্ষে একটি সাপ্তাহিক প্রকাশের খরচ চালানোই অনেকটা অসম্ভব ব্যাপার ছিল, যখন শুরু করেছিলাম। কিন্তু পিছপা হইনি। তখন সংসারের শত অভাব-অনটনের ভেতরেও আমার সহধর্মিণী রূপশ্রী সেন রায় আমার সহযাত্রী হয়েছিলেন এবং এখনও আছেন। ব্যাপক মানুষের ভেতর থেকে জাদুকরি হাতের মতো প্রসারিত এই ভিন্নতর সহমর্মিতার স্পর্শ সকল মানুষ পায় না কিংবা গ্রহণে সক্ষম নয়। কিন্তু দৈনিক সুনামকণ্ঠ এমন একটি জাগতিক ব্যাপার, যার একটি সাংস্কৃতিক পরিসর আছে, যে সাংস্কৃতিক পরিসরে বিচরণ করতে পেরে আমি অধমের মতো মানুষেরাও নিজের স্বপ্নযাত্রার আন্তরিক সহযাত্রী পেয়ে যেতে পারেন অনায়াসে। আমিও পেয়েছি। এটা আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ পাওয়ার মতো কীছু নয়, অথচ আমার পক্ষে এমন একটা অবাক করা কীছুই তো বটে, সকলে তো সেটা পায় না, কারও কারও ক্ষেত্রে যোগ্যতা থাকার পরও পাওয়া হয়ে উঠে না। এখানেই আমার গৌরবের পরাকাষ্টা পূর্ণ হয়েছে। সে-অপরূপ স্পর্শে আমার সকল অযোগ্যতা যোগ্যতার মাত্রা অর্জন করেছে। এইসব ভিন্ন ভিন্ন সহমর্মিতার অনেক স্পর্শের মধ্যে বিশেষভাবে বিশিষ্ট পরশপাথরের মতো স্পর্শের নাম মো. জিয়াউল হক, তিনি এই শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। দৈনিক সুনামকণ্ঠ’র স্বপ্নযাত্রার সঙ্গে তাঁর সহমর্মিতার স্পর্শটুকুর কোনও তুলনা হয় না, সেটা প্রসংশার ঊর্ধ্বে, যেভাবেই প্রসংশা করা হোক না কেন সেটা কম হবে। সুতরাং তিনি আমার প্রসংশার বাইরের মহৎ সহমর্মিতার পরশপাথর। সুনামগঞ্জের সাংবাদিকতার জগতে আমাকে বিশেষ করে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছেন অনেকেই অনেকভাবে। তাঁদের মধ্যে আছেন পত্রিকার পাঠক, শুভার্থী, লেখক, কবি, সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মী, সুধীজন, রাজনীতিবিদ এমনকি স্বনামধন্য ব্যবসায়ী। আমার কাছে তারা সকলেই শ্রদ্ধাভাজন। দৈনিক সুনামকণ্ঠের এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আজ সকলের কথাই একে একে মনে পড়ছে। সেইসব মানুষদের প্রতি বিনয়াবনত চিত্তে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। দৈনিক সুনামকণ্ঠের স্বজন কবি ইকবাল কাগজী ‘সুনামকণ্ঠ’কে মাঝে মাঝেই ‘সুকণ্ঠ’ বলে অভিহিত করেন। তাই সম্পাদকম-লীর সভাপতি মো. জিয়াউল হকের তোলে ধরা পতাকার ছত্রছায়ায় তাঁর নেতেৃত্বে পরিচালিত দৈনিক সুনামকণ্ঠের কর্মযজ্ঞের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল সাংবাদিক, পরিবেশক, বিজ্ঞাপন সংগ্রাহক, প্রকাশক, পরিবেশক, হকার সকলে মিলে আমরা সুকণ্ঠ পরিবার। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকের শুভলগ্নে আমাদের সুকণ্ঠ পরিবাবেরর প্রত্যেকের প্রতি রইলো অকৃত্রিম অভিনন্দন ও ফুলেল শুভেচ্ছা। এবং সেইসঙ্গে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকের এই লগ্নে আমাদের পত্রিকার বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক, শুভার্থী, সুধীজনের সকলকেই জানাই সুকণ্ঠ পরিবাবেরর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা। সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় সুনামকণ্ঠ বহুদূর এগিয়ে যাবে - এই প্রত্যাশা করি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ